ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ
শাল্লায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এখনো কাজ শুরু হয়নি
- আপলোড সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ১১:২৮:৩১ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ১১:২৮:৩১ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজের জন্য শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরে ১১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৫ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ জরিপ করার সময় ভেড়াডহর হাওরে অবস্থিত আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পিটুয়ারকান্দি গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কুশিয়ারা নদী ভাঙন স্থানে কোনও প্রকল্প দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এনিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে নড়েচড়ে বসে পাউবো। নদী ভাঙন স্থানে সাড়ে ৫ লাখ টাকার আরেকটি নতুন প্রকল্প হাতে নেয় পাউবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই প্রকল্পে কাজ শুরু হয়নি। নতুন প্রকল্পের ক্রমিক নাম্বারের হিসেবে ১১৮ নং পিআইসি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই পিআইসির কাজ এখন পর্যন্ত শুরু না হওয়ায় আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী।
অন্যদিকে ১১৩, ১১৪ নং পিআইসির মাটির কাজই চলমান রয়েছে এখনও। বহু বাঁধে আবার লাগানো হয়নি দুর্বাঘাসও। ৭৯নং প্রকল্পে করা হয়নি ক¤েপশন ও ড্রেসিং। অন্যদিকে ৭৯নং পিআইসিটি অপ্রয়োজনীয়। এলাকাবাসী জানান এখানে পিআইসি দেয়ার কোন প্রয়োজনই ছিল না। ৭৮নং ক্লোজার পিআইসিতে এখনও বাকি রয়েছে কার্পেটিং, গর্ত ভরাট কাজ।
৫৮নং পিআইসির সভাপতি মনজু মিয়া বলেন, আমার কাজ শেষ করতে আরও ৬দিন সময় লাগবে। আমার পিআইসির বরাদ্দ মাত্র ৩৯ লাখ টাকা। আমার ইডায় বরাদ্দ অইত আছিল ৬০ লাখ টাকা। তাইলে আমার লাভ হইলনে বলে জানান তিনি। অথচ সাইনবোর্ডে তার ৩১৭ মিটারে বরাদ্দ ২৪ লাখ ৮৪হাজার টাকা।
বরাম হাওরের ৬৬নং পিআইসির সভাপতি সজল সরকার বলেন, বস্তার কাজ নিয়া আমি বিপদে আছি। কাজ শেষ করতে আরও ১ সপ্তাহ লাগবে। দুর্বাঘাস লাগাতে আরও ১সপ্তাহ। এরপর ড্রেজার মেশিন দিয়ে গর্ত ভরাট করতে আরও সময় লাগবে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা (এসও) রিপন আলী বলেন, নতুন পিআইসির কাজ কালকে থেকে শুরু হবে বলে আশা করা যায়। উপজেলায় ৯৬ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। আবার অনেক পিআইসির বাঁধে দুর্বাঘাসের সংকটের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অনেক পিআইসিতে দুর্বাঘাসগুলো বাঁচতে পানি দেয়ার ব্যবস্থা নেই বলে নিজেই জানিয়েছেন রিপন আলী।
তবে হাওর বাঁচাও আন্দোলন উপজেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক জয়ন্ত সেন জানান, সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে উপজেলায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে। একজন পিআইসির সভাপতি যদি নিজেই বলেন আরও ৬-৭দিন, আরেক পিআইসির সভাপতি বলেন ১৫দিনেরও বেশি সময় লাগবে, তাহলে এই কাজ স¤পন্ন করতে কতদিন লাগতে পারে এটি তো সহজেই অনুমেয়। এভাবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাজ করলে শতভাগ কাজ শেষ করতে আরও ৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের মাটির কাজ ‘কাল কাল’ কথার খেলা এরপূর্বেও বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। কাল যেন আর শেষ হয় না। পিআইসির ধীরগতির কাজ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত বলে জানান তিনি। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিআইসির এক সভাপতি নিজেই জানান ওভারল কাজ হয়েছে ৮০ভাগ।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ -২এর নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, উপজেলার তথ্যমতে ৯৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদকের দুর্বাঘাস, ড্রেসিং, গর্ত ভরাট ও নতুন প্রকল্পের কাজের কথা জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে মোবাইল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ